রবিবার, ১৩ জুন, ২০১০

জালালের তরী (গান)

জালালের তরী : সৈয়দ মবনু
প্রকাশকাল : মার্চ, ২০০৭
প্রকাশক : নগর সাহিত্য ও প্রকাশনা সংস্থা,

বারুতখানা, সিলেট।
মূল্য : ২০ টাকা
...........................................................................

এক.
মানুষের মাঝে

ঘুরলাম আমি

খুঁজলাম আমার আস্তানা।

আমায় কেউ দিলো

ভালোবাসা

আর কেউ দিলো ঘৃণা‍‍।।
হিন্দু-মুসলিম

জাতের বিভেদ

আমি এসব মানি না।

আমার কাছে

মানুষ সবাই

মানুষ আমার বন্দনা।।
গানে গানে

ভুবনটারে

সাজাই আমি সখিনা

গানে গানে

খুঁজে নিও

সৈয়দ মবনুর ঠিকানা।।

দুই.
ফল-ফসলে ভরা এ দেশ

পাখিরা গায় গান।

বাংলা আমার জন্মভূমি

বাংলা আমার প্রাণ।।
নদ-নদীতে পানির খেলা

কত জাতের মাছ।

প্রাকৃতিতে দেশটি আমার

সকল দেশের রাজ।

বুকের তাজা রক্ত দিয়ে

রাখব দেশের মান।।
বাংলা আমার প্রিয়

ভূমিহৃদয়েরও তাজ।

ছয় ঋতুতে এই মাটিতে

সবুজেরও সাজ।

এই মাটিতে জন্ম আমার

খোদা মেহেরবান।।

তিন.
কেউ হারায়

কেউ বা পায়

আপন মনের বাসনা।

আমি সখি

গানে গানে

খুঁজি তোমার ঠিকানা।।
তোমায় নিয়ে

ভাবলে আমার

বুকে করে বেদনা।

তোমায় ছাড়া

সখি আমার

পরান বাঁচে না।।
মনের ঘরে

তালা দিলাম

করলাম কতো সাধনা।

পাখি ওড়ে

আকাশ জুড়ে

তারে আমি পাইলাম না।।
সৈয়দ মবনু

বলে সখি

হইছি তোমার দেওয়ানা।

মরণকালে

পাইমুনি রে

মন পাবনে ছিন্নবীণা।।(?)

চার.
নিশির ঘরে

একলা ফেলে

কেমনে গেলে চলিয়া।

আশায় আশায়

ছিলাম আমি

আসবে তুই ফিরিয়া।।
মনের জ্বালায়

জ্বলি সখি

কান্দিয়া কান্দিয়া।

ভেতর আমার

আঙরা হইলো

দেখলে না খুলিয়া।।
এত নিষ্ঠুর

কেমনে হইলে

প্রাণের বন্ধু শ্যাম।

সারা জনম

গেলো আমার

পথের দিকে চাইয়া।।
কোন বা দোষে

গেলে সখি

আমারে ছাড়িয়া।

কোথায় গেলে

পাইমু তোরে

ওরে শ্যাম কালিয়া।।

পাঁচ
যারে খুঁজি

তারে ভজি

তারে করি সাধনা।

সে যে কেনো দেখা দিলো না।।
মজির যদি

গুমান রেখে

দিলে দিলে

তারে ডাকে

আমি কেনো গুমান রাখি না।

আমি কেনো ডাকতে পারি না।।
শব্দে খুঁজি

শব্দ চাষি

শব্দে ভালোবাসাবাসি

শব্দ করি সাধনা।

সাধন যে আর বাঁধন মানে না।।
কিসের সংসার

কিসের বাড়ি

কিসে মবনুর বাহাদুরি

গুরু করে সংসারী

সে কি আমার সাধন বোঝে না।।

ছয়.
সাইয়্যিদিনা

আম্বিয়া

আল্লাহুম্মা সাল্লিআ’লা।

সালাম জানাই

আমরা সবাই

ওহে রাসুল কামলিওয়ালা।।
দুরুদ পড়ি

সবাই মিলে

সাল্লিআ’লা-সাল্লিআ’লা।

সাত আকাশে

সাত জমিনে

খোদার পরে তুমি আ’লা।।
শেষ খেয়াতে

সোনার তরী

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

সেই তরীতে

তুমি মাঝি

নূর নবি সাল্লিআ’লা।।
সবার মুখে

নাফসি-নাফসি

তুমি হইলায় উসিলা।

মায়ার নজরদিও আমায়

মুহাম্মদ রাসুলাল্লাহ্।।

সাত.
বৃন্দাবনে

কৃষ্ণের মনে

রাধা ফুটেছে।

চাঁদের দেহ

আমার মনে

আলো ভাসাইছে।।
কালের রাধা

উড়ে সখি

চাঁদ-তারা-গাছে

মন বাঁধিয়া

বাজাই বাঁশি

বাকলের নিচে।।
রাধা সখি আইলো না আর

কালেরও ঘরে।

শূন্য বুকে

সোহাগ দিয়ে

পরান জুড়াইছে।।
ফুলের কলি

মন মাধুরী

উদাস করেছে।

মনটি আমার

নীল আঁচলে

বাঁধা পড়েছে।।

আট

কেমনে গেলে

একলা ফেলে

আমায় ছেড়ে চলে।

কাঞ্চাসখি

নীল বেদনা

বয়ঃসন্ধিকালে।।

কত কথা

মনের ব্যথা

পুরান গাছে ঝুলে।

সখি আমি

তোমায় দেখি

সুরমা নদীর জলে।।

চানমরিতে

সুখে ছিলাম

হাসতাম পরাণ খুলে।

ঈদগার মাঠে

সময় যাইতো

মনের সুখে খেলে।।

সুখে ছিলাম

আমরা সবাই

জালালের শহরে।

একে অন্যের

বুক জড়াইতাম

পথে দেখা পাইলে।।

এখন সবাই

অন্য ভাবে

একা একা চলে।

ব্যথায় মরি

কাঞ্চাসখি

নিঃসঙ্গ সকালে।।

এসো তুমি

জোছনা রাতে

বালুচরের ঢলে।

দুজন মিলে

সাঁতার কাটি

সুরমা নদীর জলে।।

নয়
সুজন মাঝি রে

আমার প্রাণও মাঝিরে

সারাদিন তর লাগিয়া

রইলাম নদীর তীরে।।
দূর নদীতে

যাহা দেখি

ভাবি আইছে মাঝিরে।

পাগল হয়ে

দাঁড়িয়ে থাকি

আইলো না আর ফিরে।।
ও মাঝিরে...

সারা দিন তোর লাগি

রইলাম নদীর তীরে।।
মনের খবর রাখলে নারে

চলে গেলে দূরে।

সেই খবরটি

কেমনে দেবো

মাঝি আমি তোরে।।

দশ

পাগল হইয়া

খুঁজলাম তোরে

আলো-আঁধারে।

তবু আমি

কর্মদোষে

পাইলাম না তোরে।।
কেউ বলে

আছো তুমি

আরশেতে বসে।

কেউ বলে

পাবে দেখা

শাহ রগেরও কাছে।

কেউ বলে

খুঁজে দেখো

সৃষ্টিরও ভিতরে।।
সৈয়দ মবনু

খুঁজে তোরে

তরসেরও মাঝে।

একদিন তুমি

দয়াল বন্ধু

দেখা দাও আমারে ।।

এগারো

কেনো তুমি

বাজাও বাঁশি

নিশি নদীর তীরে।

হৃদয় আমার

আঙ্গার হইলো

তোমার বাঁশির সুরে।।
চোখে পানি

বুকে ব্যথা

পাইমুনি তোমারে।

তোমার প্রেমে

হইছি পাগল

কান্দাইও না আমারে।।
মাটির ঘরে

বুকে আমার

জড়াইতাম কারে।

তুমি যদি

মায়া করে

আসো না গো ফিরে।।
কর্মদোষে

শাস্তি দিলে

নেবো মাথায় করে।

দোষের দোষী

কলঙ্কিনী

মবনু তোমার ঘরে।।

বারো

দশ মাস

দশ দিন

ছিলাম আমি

মায়ের উদরেতে।

হাশর

কিয়ামত

দেখলো মা

আমায় জন্ম দিতে।।
মা তো আমার

সূর্যমুখী

আকাশেরও চাঁদ।

পূর্ণিমাতে

সেই চাঁদে

আমি কালো দাগ রে

আমি কালো দাগ।।
শিশুকালে

মল-মূত্র

ছাড়তাম মায়ের কোলে।

মা তো আমার

ছাফ করিতেন

মাঘ মাসেরও শীতে।।
আমি বড়

পাজি ছিলাম

কষ্ট দিতাম মাকে।

শৈশবেতে

দিলো মা

খাতা-কলম হাতে।।

যৌবনেতে

আইলাম সখি

থাকি না আর ঘরে।

সারা শহর

ঘুরে বেড়াই

বন্ধু-বান্ধব সাথে।।
ঘরে ফিরি

নিশি হলে

বাবা উঠে রেগে।

কোথায় ছিলে

সোনার ছেলে

মা টানে বুকে।।
মায়ের কথা

ভাবে মবনু

খোদার প্রার্থনাতে।

পারবোনা রে

কোনদিনও

মায়ের ঋণ শুধিতে।।


১৩.
সুরমা তীরে

প্রজার বুকে

ছিলো আহাজারি।

রাজা ছিলো

গৌড় গোবিন্দ

বড় অত্যাচারী।।
আইলা জালাল

ইয়ামন ছেড়ে

সিলেট নগরী।

করলেন তিনি

জিহাদ করে

দ্বীনের ফরমান জারি।।
কাঁচা হাতে কাড়াল ধরি

আমরা সিলেটবাসী।

সুরমা থেকে আটলান্টিকে

ভাসাই জালালের তরী।।
সাত সমুদ্রে

হাল ছাড়িনি

দেশ-বিদেশে ঘুরি।

সুরমা তীরে

বাড়ি আমরার

জালালের নগরী।।

চৌদ্দ
ফুটপাতে হায়

থাকে তারা

আকাশেরই তলে।

উপরেতে নাইরে ছাদ

কাঁদে বৃষ্টির জলে।।
ঘর নাই

দুয়ার নাই

সংসার গড়ে।

তাদের কাপড়

নাই রে ভাই

মাঘ মাসের শীতকালে।।
নাই রে ছায়া

তাদের কাছে

চৈত্র মাসের ভীষণ রোদে।

সবকিছু হায়

যায়রে উড়ে

বৈশাখি ঝড় এলে।।
তাদের কাছে

নাই রে খাবার

ডাস্টবিনটা গিয়ে খুলে।

মহা খুশি

হয় রে তারা

একটু খাবার পাইলে।।
শোষকেরা

শোষণ ছেড়ে

বণ্টন করো

দু-হাত খুলে।

তাদের দুঃখ

থাকবেনা রে

ধনীর হাত

প্রসার হলে।।

পনেরো

ইয়া রাসুল আল্লা

হইয়া রাসুল আল্লাহ।

ইয়া হাবিব আল্লাহ

ইয়া হাবিব আল্লাহ ।।
আমিনা মায়ের কোলে

মোহাম্মদ কামলিওয়ালা।

গারে হেরায় এতিম নবি

ওহির নূরে হাবিবুল্লা।।
মক্কাবাসী কাফেরেরা

বলতো আল-আমিন

চলাফেরায় ছিলেন নবি

নূরে আ’লা নূরে আ’লা।।
হাশরের বিচার দিনে

শাফায়াত করিবেন নবি

শাফিউল মুরসালিন তিনি

নূর নবি সাল্লিআ’লা।।

ষোলো.
পাতা ঝেরে

ভাঙবে ডাল

নয়ন নিবে কেড়ে।

হাতে ব্যথা

পায়ে ব্যথা

বুকে ব্যথা করে।।
ভাবনা করি

সোনার ময়না

সময় হাতে নাই রে।

মনো-পাখি

তোমায় ছেড়ে

যাইবে একদিন উড়ে।।
দালান বাড়ি

ঝাড়-বাতি

যাইমু আমি ছেড়ে।

নিথর দেহ

রইবে তোমার

অন্ধকার ঘরে।।
আমি সখি

ডরাই অতি

বাতি গেলে ভবে।

পরান গেলে

কেমনে থাকমু

মাটির অন্ধ ঘরে।।

সতেরো.
তুমি ছাড়া

কার কাছে

যাইমু আমি

আশা করে।

ফিরাইলেও

আইমু দয়াল

তোমার কাছে

আবার ফিরে।।
দয়ার ঘরে

তালা দিয়া

আইও না তুমি হাশরে।

দয়াল তুমি

বিচার ছেড়ে

রহম করো আমারে।।
শূন্য হাতে

পাপী আমি

ছিলাম রঙের ঘরে।

কী দিয়া

করিমু বরণ

মরণকালে তোমারে।।
তবু আশা

লইয়া আইছি

দয়াল তোমার দরবারে।

ভজন করি

সৈয়দ মবনু

চরণ দাও আমারে।।

আটারো
দমে দমে

কলবের ঘরে

মনে মনে

খুঁজলাম যারে।

নিশিরাতে

মাতাল করে

সে আমায়

রঙিলা সুরে ।।
নেশা আমি

করিনা রে

সখি আমায়

মাতাল করে।

কথার কলি

ছন্দে বৃত্তে

নেশা দিলো

সে আমারে।।
সৈয়দ মবনু

কান্দে সখি

আর কতোকাল

থাকবে দূরে।

একদিন তুমি

ফুল-চন্দনে

দেখা দাওগো

সই আমারে।।


উনিশ

কে আমারে

বাউলা করে

বুকে দিয়া আশিকানা।(?)

কার লাগিয়া

আমার বুকে

হইলো এতো বেদনা।(?)
মনের আমার

জ্বলে আগুন

নিভাইতে পারলে না।

তুমি শুধু

প্যাচাল করো

মনের কথা বোঝো না।।
তোমার সাজন

দেখে সখি

আমার পরান জুড়ায় না।

পরান জ্বলে যার লাগিয়া

তারে আমি পাইলাম না।।
লোকে বলে

সৈয়দ মবনু

প্রেমের বড় দেওয়ানা।

যারে খুঁজি

ৱতারে ছাড়া

পাগলের মন বোঝে না।।

বিশ.
মনে মনে আল্লা-আল্লা

মনছুর হেল্লাজ ফানাফিল্লা।

মনে মনে আল্লা-আল্লা

আমার মুর্শিদ বাকাবিল্লা।।
মনঘাটাতে দিয়া নোঙর

বাঁশি বাজায় মাওলা।

বাঁশির সুরে রুহু পাগল

লোকে বলে বাউলা।।
মাটির নৌকা

মাটির বৈঠা

মাঝির বুকে জ্বালা।

নৌকা চলে উজান পথে

কাড়াল ধরো মাওলা।।
শ্বাসে শ্বাসে মাওলার চরণ

আমায় করে আউলা।

মাওলার মাঝে বাউলা আমি

আমার মাঝে মাওলা।।


একুশ.
পাপী-তাপী

আইছি আমরা

মাওলা তোমার দরবারে।

ফিরাইও না

লাঠি দিয়া

দয়াল তুমি আমরা রে।।
ফিরাও যদি

তুমি মওলা

যাইমু আমরা কার কাছে।

ভিক্ষার ঝুলি

লইয়া আইছি

আমরা তোমার দরবারে।।
দয়া করো

মায়া করো

তুমি আমরা রে ।

সেজদা করি

সবাই মিলে

মাওলা তোমারে।।

বাইশ
ঘুরলাম আমি

ভবের বাজার

রঙ-তামশা করে।

খেয়া ঘাটে

ফিরে আসি

পাইলো ঘূর্ণিঝড়ে।।
বেলাও নাই

মাঝিও নাই

নৌকা নাইরে ঘাটে।

অন্ধকারে

একলা আমি

কালবৈশাখীর ঝড়ে।।
কেমন করে

যাইতাম আমি

নদীর ঐ পারে।

কোথায় আমার

দয়াল মাঝি

দয়া করো আমারে।।

তেইশ.
নিশি হলে

আসবে তুমি

আমার আপন জন।

সন্ধ্যা বেলা

আমার মনে

ছিলো এই স্বপন।।
কতো ঢঙে

সাজাই বাসর

দিলাম সোনার পালঙ।

আইয়া গেলে

চাইলে না ফিরে

আছে মবনু কেমন।।
আমি ছিলাম

আমার মতন

সোনা যাদুধন।

কেনো এলে

ফিরে গেলে

ভাঙলে আমার মন।।


চব্বিশ
মায়ার নদী

ঘূর্ণিঝড়ে

ঢেউ তুলেছে

মনের ঘরে।

তার চরণে

মন উদাসী

মাটির দেহ

শূন্যে উড়ে।।
আদর-মায়া

ভালোবাসা

সই আমারে

কাঙাল করে।

মন মজাইয়া

আসন বানাই

তোর লাগিয়া

হৃদয়জুড়ে।।
মনের কথা

মনের ব্যথা

কেমনে বুঝাই

আমি তরে।

ভীষণ জ্বালায়

চোখের পানি

ঝরায় মবনু

অন্ধকারে।।

পঁচিশ.
ফুলের বন্ধু

সে ভমরা

আমায় কেনো

শুধু কাঁদায়।

আগে কি আর

জানতাম সখি

এতো জ্বালা

প্রেম সাধনায় ।।
নদীর জলে

ঘূর্ণিঝড়ে

ফুলের কলি

সুবাস ঝরায়।

শূন্যে ওড়ে

দেহ আমার

চোখে পানি

প্রেমের জ্বালায়।।
আদর করে

রাখতাম মনে

পাইলে আমি

সখি তোমায়।

এসো তুমি

সোনার ময়না

একদিন মবনুর

ঐ ঠিকানায় ।।

ছাব্বিশ.
খুঁজলাম আমি

চাঁদের দেহ

নদীর মোহনায়।

পাথর ওড়ে

শূন্যে শূন্যে

চিন্তারও গুড়ায়।।
স্বপ্ন আমার

দীর্ঘ ছিলো

বেহুলার ভেলায়।

স্বপ্ন ভাঙে

স্বপ্ন গড়ে

পাখিরও ডানায়।।
পদ্ম-গোলাপ

ফুটে আমার

সোনালি মায়ায়।

তুষারপাতে

ভাঙে হৃদয়

গ্রিনিচের কাটায়।।
সুরমা নদীর

জলের স্রোতে

খুঁজলাম সই তোমায়।

সৈয়দ মবনু

ভাসে জলে

প্রেমের বেদনায়।।

সাতাশ.

আত্মা যদি

আত্মা টানে

মায়ার ইন্দ্রজালে।

দুঃখের দুখী

সখি আমি

ভাসি অশ্রুজলে।।
ঝিনুক বুকে

মিতা আমার

হাসে পদ্মফুলে।

গানের সুরে

ডাকে মিতা

কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে।।
কান্দে আদম

স্বর্গে আমার

হাওয়ার কাশফুলে।

ঝরে আকাশ

নীলাভ চোখে

মনের কপাট খোলে।।
মাটির দেহ

চায় না মবনু

দাওগো পরাণ খুলে।

মনের মিলন

সুবাস বিলায়

চাঁদ-তারা আর ফুলে।।

আটাশ.
খুঁজলাম তোরে

সাধন করে

নয়ন জলে

মায়া ঝেরে।

পাগল বলে

গালি দিলে

মন পাঁজরে

পাখি ওড়ে।।
ঘুম আসে না

নিশিরাতে

বুকে আমার

ব্যথা করে।

আমারও যে

মন আছে সই

কেমনে বোঝাই

আমি তোরে।।
গান শুনি না

সখি আমি

মনের ঘরে

তালা দিয়ে।

সাধন-ভজন

সবই আমার

সখি তোমার

গানের সুরে।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন